শান্তি ও উন্নয়নের বার্তা নিয়ে ভোট ময়দানে চাঁপদানির বিজেপি প্রার্থী

28th March 2021 10:16 am হুগলী
শান্তি ও উন্নয়নের বার্তা নিয়ে ভোট ময়দানে চাঁপদানির বিজেপি প্রার্থী


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : প্রথম দফার ভোট গ্ৰহণ হয়েছে । ভোট প্রচার জোর কদমে চলছে অনান্য জেলাতেও। হুগলী জেলার চাঁপদানি বিধানসভার বিজেপির প্রার্থী দিলীপ সিং সকাল থেকে পাঁয়ে হেটে  কর্মীদের নিয়ে চালাচ্ছে প্রচার  ।  প্রচারে বেড়িয়ে অভিযোগ তুললেন বিপক্ষ তৃনমুল প্রার্থীর বিরুদ্ধে।  চাঁপদানি বিধানসভার তৃনমুল প্রার্থীর হলফ নামা নিয়ে অভিযোগ তুললেন চাঁপদানি বিধারসভার বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সিং। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ ২০১৫ সালে পৌরসভার হলফ নামা যা ছিল ২০২১ সালে তার সম্পতি দিগুন হয়েছে। দিলীপ সিং দাবি করছেন এই পাঁচবছরে হোটেল সহ একাধিক জায়গায় ফ্লাট রয়েছে তার  কোন জাদুবলে  তৃনমুল প্রার্থীর সম্পত্তির বৃদ্ধি হয়েছে তার উত্তর চাইছে  চাঁপদানি বিধানসভার জনগন। অভিযোগ  যেখানে আমফানের টাকা পাচ্ছে না, প্রধানমন্ত্রীর আবাস জোজনার বাড়ি পাচ্ছে না, অভিযোগ তৃনমুল দলের নেতাদের সম্পত্তি বেড়ে চলছে।  তার অভিযোগ চেয়ারম্যান হয়ে এতো সম্পত্তির মালিক হলে, বিধায়ক হলে কি হবে। অন্যদিকে তৃনমুল প্রার্থী অরিন্দম গুইন বলেন মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে বিজেপি দল চলছে। চাঁপদানি বিধানসভা থেকে বিজেপি প্রার্থী হারবে বলে মিথ্যা অপপ্রচার করছে। রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করতে পারছে না বলে ব্যক্তিগত  আক্রমন করছে। তাতে কোন লাভ হবে না বিজেপির। জয় আমাদের নিশ্চিত ।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।